HS Students: ফেরত দিতে হবে ট্যাবের টাকা? উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা

Published on:

Follow Us

HS Students: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে ট্যাব কেনার টাকা পেয়েও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে না অনেক পড়ুয়া। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষা দফতর। তাই কত ছেলেমেয়ে এমন করছে তার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার

কেন (HS Students) পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দিয়েছিল রাজ্য?

করোনা মহামারীর সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের ট্যাব বা ফোন কেনার জন্য সরকার 10 হাজার টাকা করে দিয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের গরিব ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।

কাদের ট্যাবের টাকা ফেরত দিতে হবে?

কোভিড কাল কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু রেখেছে সরকার। কিন্তু শেষ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়ারা টাকা নিলেও উচ্চ মাধ্যমিক (HS Students) পরীক্ষায় বসছেন না। তাদের স্কুল ছুট হিসাবেই গণ্য করছে শিক্ষা দফতর।

এমন সব পড়ুয়াদের তালিকা বানানোর নির্দেশ দিল সরকার সব স্কুল গুলোতে। জানা গিয়েছে সরকারের তরফ থেকে একটি ফর্ম পাঠান হয়েছে স্কুল গুলোতে। সেই ফর্ম এই লিখে শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে কত জন পড়ুয়া ফোনের টাকা পেয়েও পরীক্ষায় বসেনি।

আরও পড়ুন: কবে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ শুরু! জানালো সংসদ

কোভিডের পরবর্তী সময়ে দেশ বা সারা বিশ্বের পড়াশোনা অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে। কোনও গরিব এবং প্রান্তিক পরিবারের ছেলে মেয়ে, যাদের মোবাইল বা ট্যাব কেনার পয়সা নেই, তারা সরকারি অর্থে মোবাইল বা ট্যাব কিনে বড় পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে। প্রযুক্তিই তাকে সেই জায়গা করে দেবে। বিষয়টিকে এই ভাবে দেখলেই ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রকল্পটি যুক্তিযুক্ত মনে হবে।

কেন ট্যাবের টাকা দেওয়া বন্ধ করবে রাজ্য?

অনলাইনে পড়াশোনা করতে গেলে ট্যাব বা মোবাইল আবশ্যিক হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আবার সব কিছুই অফলাইনে করা যাচ্ছে, তাই এই ভাবে স্কুলের কাছে হিসেব না চেয়ে বরং ছাত্র ছাত্রীদের (HS Students) অর্থ দেওয়া বন্ধ হোক।”

এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, তালিকা তৈরি করে পরিস্থিতি বুঝে নিতে চাইছে সরকার। তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্ত কী হবে তা এখন দেখার বিষয়। তবে এই সিদ্ধান্তটি যে কোনওভাবেই পড়ুয়াদের উপর প্রভাব ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য।